ঈদের দিনের খাবার-দাবার ||বাংলাদেশ প্রতিদিন ২১ জুন, ২০২৩
হার্টে ব্লক ছাড়াও এনজিনা || বাংলাদেশ প্রতিদিন ৯ মে, ২০২৩
ইটিটি: হার্টের যোগ্যতার পরিমাপক || বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৭ এপ্রিল, ২০২৩
হার্টের যোগ্যতার মাপকাঠি || বাংলাদেশ প্রতিদিন ২৬ এপ্রিল, ২০২৩
কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকৃতিক চিকিৎসা || বাংলাদেশ প্রতিদিন ১২ এপ্রিল, ২০২৩
“শমশের হার্ট কেয়ার” হার্টের সব ধরনের চিকিৎসার জন্য একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান। যা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ২০১০ সালে। এটি ডা. এম, শমশের আলী (এম বি বি এস, এম মেড , ডক্টর অব মেডিসিন এমডি কার্ডিওলজি), হার্ট স্পেশালিষ্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত।শমশের হার্ট কেয়ার একটি কাটা-ছেঁড়া বিহীন হার্টের চিকিৎসা কেন্দ্র। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা সেবার এই প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসা কাটা-ছেঁড়া বিহীন (Non-invasive) পদ্ধতিতে সম্পন্ন করা হয়ে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানে হার্টের রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় শতভাগ পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগ আছে এবং সকল পরীক্ষা–নিরীক্ষাই লেটেষ্ট ভারসানের মেশিনারিজ সুদক্ষ ডাক্তার ও টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে সঠিক মান বজায় রেখে করা হয়ে থাকে।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিশেষ বৈশিষ্টগুলো হলো: * সুনির্বাচিত এলোপ্যাথিক মেডিসিন প্রদান * রোগীর অসুস্থ্যতার মাত্রা, শারীরিক যোগ্যতা ও কর্মতৎপরতার উপর ভিত্ত্বি করে সঠিক জীবন ধারা মেনে চলার উপদেশ এবং * রোগের ধরণ ভেদে, রোগীর শারীরিক অবস্থা, রোগীর শারীরিক গঠন, শারীরিক ওজন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ প্রদান ও বিজ্ঞানসম্মত জীবনধারা মেনে চলতে সাহায্য করা এবং ক্ষেত্রবিশেষে রোগের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রাকৃতিক/ন্যাচারাল বাইপাস (ECP) চিকিৎসা প্রদান করা হয়ে থাকে। ইসিপি চিকিৎসা (থেরাপী) অত্যন্ত কার্যকরী বা ফলপ্রসূত, সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড, ব্যথা-বেদনামুক্ত ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত। আমেরিকান খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক স্বীকৃত এবং আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজী, আমেরিকান কার্ডিয়াক (হার্ট) সোসাইটি ও ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব কার্ডিওলজী দ্বারা সুপারিশকৃত একটি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি। যা সারা পৃথিবী জুড়ে সকল দেশেই প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
এ দেশের আপামর জনসাধারণকে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে হৃদরোগের চিকিৎসা প্রদান, হৃদরোগ প্রতিরোধ ও জনসচেনতা বৃদ্ধি করে বর্তমান সময়ে প্রধান প্রাণঘাতী অসুস্থ্যতা বলে বিবেচিত হার্ট ডিজিজকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিষ্ঠান “শমশের হার্ট কেয়ার” এর অগ্রযাত্রা। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে হার্টের অসুস্থতার প্রধান কারণ হার্টের রক্তনালীতে ব্লক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এবং রিং ও বাইপাস পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদানই একমাত্র বৈজ্ঞানিক পন্থা বলে আমাদের দেশের হার্টের চিকিৎসকগণ রোগীদের পরামর্শ প্রদান করে থাকেন। কেউ কেউ সামান্য কারনেই রোগীকে রিং-বাইপাস করার প্ররোচানা করে থাকে। রিং ও বাইপাসের মাধ্যমে চিকিৎসা কিন্তু রোগীকে সম্পূর্ণরূপে সুস্থ্য করতে অপারগ এবং এ ধরনের চিকিৎসা অনেক ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণও বটে। এসব পদ্ধতির চিকিৎসা অধিক ব্যয়বহুল হওয়ায় আমাদের দেশের অনেক রোগী শুধুমাত্র অর্থনৈতিক কারণে এ ধরনের চিকিৎসা গ্রহনে ব্যর্থ হচ্ছেন, আবার অনেক হার্টের রোগী কাটা-ছেঁড়া করে চিকিৎসা গ্রহনে আগ্রহী নন, অনেক রোগী রিং ও বাইপাস করতে না পারায় বা করতে না চাওয়ায় চিকিৎসকগণ (কার্ডিওলজিষ্ট) অন্যভাবে (রিং ও বাইপাস ছাড়া) চিকিৎসা প্রদানে আগ্রহী না হওয়ায় রোগীগণ নানাবিধ অপচিকিৎসা গ্রহনে বাধ্য হচ্ছেন।
অনেক হার্টের রোগীর হার্টের রক্তনালী ব্লক বা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক অসুস্থ্যতার কারণে রিং ও বাইপাস করার অযোগ্য বলে বিবেচিত হয়ে থাকেন। অনেকের হার্টের পাম্পিং পাওয়ার অত্যাধিক পরিমানে কমে যাওয়ায় মানে হার্ট অত্যাধিক দূর্বল হওয়ায় রিং ও বাইপাস করার অযোগ্য বলেও বিবেচিত হয়। যেমন কিডনি ফেইলুর, ক্যানসারে আক্রান্ত রোগী, লিভার ফেইলুর রোগী।
উপরোল্লেখিত রোগীদেরকে সঠিকভাবে বৈজ্ঞানিক চিকিৎসা প্রদান করার মত কোনরূপ চিকিৎসা কেন্দ্র এ দেশে না থাকায় এবং এসব রোগীদের সুচিকিৎসার নিমিত্ত্বে আমরা “শমশের হার্ট কেয়ার” নামক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার প্রয়াস পাই।
হার্টেররোগ যেহেতু একটি জীবনধারা ও খাদ্যাভ্যাস জনিত অসুস্থ্যতা, তাই একে শুধুমাত্র মেডিসিন, রিং অথবা বাইপাস ও ইসিপি চিকিৎসার মাধ্যমে কার্যকরীভাবে মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। তাই শমশের হার্ট কেয়ার এ রোগের চিকিৎসায় মেডিসিন ও ই.সি.পি চিকিৎসার পাশাপাশি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে প্রত্যেক রোগীকে আলাদা আলাদাভাবে তার জন্য সর্বোৎকৃষ্ট খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা মেনে চলার সু-পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের রিং ও বাইপাস ছাড়া চিকিৎসা প্রদান করে, শমশের হার্ট কেয়ার এ দেশের আপামর জনসাধারনের একটা অংশের আস্থা অর্জন করতে সামর্থ হয়েছে এবং আমরা মনে করছি এ ধরনের অবস্থাই আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করছে এবং আমাদের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করছে।
অনেক হার্টের রোগী এক বা একাধিকবার রিং ও বাইপাস করার পরেও আবারও হার্ট ব্লকে আক্রান্ত হচ্ছেন। যার ফলে এ সমস্ত রোগীগণ রিং ও বাইপাস করতে রাজি হচ্ছেন না। অনেকে পূর্বে রিং ও বাইপাস করার পরবর্তীতে হার্ট দুর্বল হয়ে হার্ট ফেইলুরে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদেরকেও আর রিং বা বাইপাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসার জন্য শমশের হার্ট কেয়ার একটি উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান।
প্রত্যেক রোগীকে তার বয়স, ওজন, শারীরিক গঠন, অসুস্থতার মাত্রা এবং অন্যান্য সহযোগী অসুস্থতা যেমন কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ইত্যাদি বিবেচনা করে আলাদা আলাদা খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ প্রদান করে থাকি। আমাদের খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে রোগী ধীরে ধীরে প্রাকৃতকিভাবে খাদ্যাভ্যাসে সফলতা অর্জন করতে পারবে। খাদ্য তালিকা- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডালের মত প্রোটিন জাতীয় খাবার, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ ওয়েল, ঘি, বাদাম জাতীয় খাবার, ডিমের কুসুম, তিল, তিসি ইত্যাদি তেল জাতীয় খাবারের উৎস। এধরনের খাবার যতুটুকু সম্ভব কম মাত্রায় খাওয়া বাঞ্ছনীয় । তবে কোন ভাবেই সম্পূর্ণ বর্জন করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। শাক-সবজি ও ফলমুল জাতীয় খাবার, ভাত, রুটি, আলু, চিনি মিষ্টি এ ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করা আছে। যা বাঙালি সমাজের খাদ্যাভ্যাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে মনে রাখতে হবে খাদ্য আমাদের শারীরিক যোগ্যতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার একটি বড় উপায়। কাজেই কোন ধরনের খাদ্যবস্তু সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা উচিত হবে না, বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া।
সবধরনের হার্টের অসুস্থতায় আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক চিকিৎসা প্রদান করে থাকি। তবে আমরা কোনরূপ কাঁটা-ছেড়া জাতীয় চিকিৎসা যেমন- রিং বসানো এবং হার্টের অপারেশন করি না।উচ্চ রক্তচাপ জনিত হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস জনিত হার্টের সমস্যা, হার্টব্লক জনিত সমস্যা, ষ্ট্রোক, কিডনির অসুস্থ্যতা ও হার্টের সমস্যায়, থাইরয়েড হরমোনজনিত হার্টের সমস্যা, রিং ও বাইপাস পরবর্তী হার্টের সমস্যা এবং অন্যান্য সকল ধরনের হার্টের অসুস্থতার চিকিৎসা প্রদান করে থাকি।কম জটিল অবস্থায় আমরা মেডিসিন, খাদ্যাভ্যাস ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করে থাকি। অতি জটিল রোগী, হার্ট ফেইলুরের রোগী, যাদের হার্ট অত্যাধিক দূর্বল হয়ে পড়েছে, যাদের হার্টে ব্লকের পরিমান বা সংখ্যা বেশী, যারা পূর্বে রিং-বাইপাস করার পর আবারও অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন, যারা হার্ট ব্লকের পাশাপাশি কিডনি অসুস্থ্যতায়, ষ্ট্রোকে, লিভারের সমস্যায়, ক্যানসারে ও অনিয়ন্ত্রতিত ডায়াবেটিস রোগে ভূগছেন, তাদের জন্য ন্যাচারাল বাইপাস (ইসিপি) থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।

পরিক্ষা-নিরীক্ষা
সকল পরিক্ষা-নিরীক্ষা (শমশের হার্ট কেয়ারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান শমশের হেলথ এর মাধ্যমে করা হয়)
প্যাথলজিক্যাল টেষ্ট
ইসিজি
ইকো-কর্ডিওগ্রাম
ইটিটি
হল্টার মনিটরিং
আলট্রাসনোগ্রাম
চেষ্ট এক্স-রে
সার্বক্ষনিক ব্লাড প্রেসার মনিটরিং (এবিপিএম)
সিটি এনজিওগ্রাম, সিটিস্ক্যান ও এম.আর.আই টেষ্টের ব্যবস্থা করা হয়।
ইসিপি থেরাপি
হার্ট ব্লক ও হার্ট ফেইলুর এবং ষ্ট্রোকে চিকিৎসা ইসিপি (এক্সটার্ণাল কাউন্টার পালসেশন) থেরাপিঃ- কাটা-ছেঁড়া বিহীন পদ্ধতিতে হৃদরোগের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি।
ইসিপি থেরাপিঃ- কাটা-ছেঁড়া বিহীন পদ্ধতিতে হৃদরোগের অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। যার মাধ্যমে হৃদরোগীগণ সুস্থ্য হওয়াসহ প্রভূত আরোগ্য লাভ করে থাকেন। কোনরূপ ব্যথা-বেদনা বা কাটা-ছেঁড়া অথবা কোন রকম সুঁই ফোঁড়ানো ছাড়াই এবং হাসপাতালে ভর্তি বিহীন অবস্থায় এ থেরাপি নেওয়া সম্ভব। থেরাপি চলার সময় রোগী বিছানায় শুয়ে অন্যদের সাথে গল্প গুজব করতে পারবে, পেপার বা বই পুস্তক পড়তে পারবে, টিভি বা ভিডিও দেখতে পারবে এমন কি হালকা কিছু খেতে চাইলে তাও পারবে, চাইলে গান শুনতে পারবে। বুঝতেই পারছেন এত আতঙ্কিত হওয়া বা ভয় পাওয়ার মত কিছুই নেই। রক্তচাপ মাপার জন্য এক ধরনের কাফ (বন্ধনী) ব্যবহার করা হয় এবং চাপ নির্ণয়ের সময় তাতে পাম্প করে বাতাস ঢোকানোর হয় যা আমরা সবাই দেখেছি এবং ব্যবহার করেছি ঠিক একই ধরনের তবে বড় সাইজের বেশ কিছু কাফ উরু, নিতম্বে ও পা এ পরিয়ে তাতে হার্টের সংকোচন ও প্রসারণের সাথে তাল মিলিয়ে কাফ গুলোতে বাতাসের চাপ সৃষ্টি ও চাপ অপসারণ করে পাম্প সৃষ্টি করা হয়। যার ফলে রক্তনালীতে চাপের তারতম্যের কারণে শরীরের রক্ত প্রবাহের চাপ ও গতির পরিমান ২-৩ গুন বৃদ্ধি পায়। রক্ত প্রবাহের গতি, চাপ ও রক্ত সরবরাহের পরিমান বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন সৃষ্ট ব্লক খোলে যায় এবং ব্লকের পার্শ্ববর্তী অকেজো রক্তনালী খোলে যায় এবং আকারে বড় হয়ে থাকে এবং নতুন নতুন রক্তনালী সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে ব্লককে বাইপাস করে ব্লকের ভাটিতে রক্ত সরবরাহ স্বাভাবিক করে । যার জন্য এই পদ্ধতিকে ন্যাচারাল বাইপাস বলে আক্ষায়িত করা হয়। যা কিনা সারা শরীরে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি, রক্তের মাধ্যমে পৌছেঁ দিয়ে হার্টের কাজকে বহুলাংশে সহায়তা করে। যার ফলে হার্টের কাজের চাপ কমে যাওয়ায় হার্ট আংশিকভাবে বিশ্রাম গ্রহণ করতে পারে। হার্টের কাজের চাপ বা কর্মভার (Work load) কমার ফলে হার্ট পুর্নগঠনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সারাদেহে অধিক পরিমানে রক্ত পরিসঞ্চালনের মাধ্যমে অনেক শারীরিক অক্ষমতা দূর করে, ফলে প্রচন্ড দূর্বল রোগীগণ কর্মচঞ্চলতা ফিরে পায় এবং অনায়াসে প্রয়োজনীয় শারীরিক কর্ম-কান্ড সম্পাদনের মাধ্যমে নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া এবং অত্যাবশ্যকীয় কর্মসম্পাদন করতে পারেন, যেমন- গোসল করা, অজু করা, নামাজ পড়া ইত্যাদি। সর্বোপরি বলা যায় যে, ইসিপি থেরাপি প্রচন্ড দূর্বল রোগীদের শারীরিক যোগ্যতা বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা আনয়নে সাহায্য করে থাকে।
ইসিপি থেরাপি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কাজটি করে তা হলো রক্তচাপ ও রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করে হৃৎপিন্ডের মাংশপেশীতে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ফলে ছোট ছোট অকেজো রক্তনালী খুলে গিয়ে হার্টের রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে বুকের ব্যথা প্রশমন করে। বিশেষ করে যখন পরিপূর্ণ মেডিকেল চিকিৎসার মাধ্যমে বুকের ব্যথা নিরাময় সম্ভব না হয় তখন ইসিপি থেরাপির ফলে হার্ট ব্লকের চারদিকে বন্ধ রক্তনালী খোলা এবং ব্লকের চারদিকে নতুন নতুন রক্তনালী সৃষ্টির মাধ্যমে প্রাকৃতিক বাইপাস সংগঠিত করে থাকে। ফলে বাইপাস রক্তনালীর মাধ্যমে হার্ট ব্লককে বাইপাস করে হৃৎপিন্ডে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।
হার্টের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে হার্ট তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে পায়। হার্ট শক্তিশালী হওয়ায় আরও অধিক রক্ত পাম্প করে শরীরে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির ফলে শরীরের বিভিন্ন ভাইটাল অরগান যেমন- কিডনি, ব্রেইন, লিভার ইত্যাদি অঙ্গের দূর্বলতা, দূর করে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সাহায্য করে থাকে।
* কোন ধরনের রোগীগণ ইসিপি থেরাপির মাধ্যমে উপকৃত হবেন?
* হার্ট ব্লকের ফলে স্বাভাবিক কর্মসম্পাদনে বুকের ব্যথা বুকে চাপ অনুভব করেন তারা।
* পরিপূর্ণ মেডিকেল চিকিৎসার ফলেও যে সকল হার্ট ব্লকের রোগীগণ ব্যথা মুক্ত থাকতে পারছেন না।
* যে সমস্ত হার্ট ব্লকের রোগীগণ অন্যান্য অঙ্গের (কিডনি, লিভার, ষ্ট্রোক, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ক্যানসার জাতীয় অসুস্থ্যতায়, অতি মাত্রার ডায়াবেটিস ইত্যাদি)
সমস্যার জন্য অথবা সর্বোপরি শারীরিক অযোগ্যতার জন্য বাইপাস ও রিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণে অযোগ্য।
* যাদের হার্ট ব্লক এমন ধরনের (বৈশিষ্ট্য) বাইপাস বা রিং প্রতিস্থাপন সম্ভব নয়।
* যারা এক বা একাধিকবার রিং বা বাইপাস করার পরও আশানুরূপ উন্নতি লাভ করেন নাই অথবা পরবর্তিতে আবারও হার্টের অসুস্থ্যতায় আক্রান্ত হয়ে পরেছেন।
* যাদের হার্ট ব্লক বিদ্যমান কিন্তু বাইপাস ও রিং এর মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী নন।
* যে সকল হার্ট ব্লকের রোগীদের হার্ট খুবই দূর্বল, হার্টের পাম্পিং পাওয়ার (EF<৩৫%) বা তার চেয়েও কমে গেছে।
* যে সকল হার্ট ব্লকের রোগীগণ হার্ট-ফেইলুর এ ভুগছেন (শরীরে ফোলে যাওয়া বা পানি জমা হওয়া ও অতি সহজে হাপিয়ে উঠছেন)।
* অত্যাধিক দূর্বল ব্যক্তিগণ (যে কোন কারণে) যারা স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরে পেতে চান।
* বয়সের ভারে ন্মজ্ব ব্যক্তিগণ যারা শারীরিক দূর্বলতার জন্য নিজের অত্যাবশ্যকীয় কার্যক্রম করতে অক্ষম।
* যে সকল হার্ট-ফেইলুর রোগীগণ পূর্ণ মেডিকেল চিকিৎসার মাধ্যমেও হার্ট-ফেইলুর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হচ্ছে না।
চিকিৎসক
চিকিৎসা বিজ্ঞান জগতে যুগান্তকারী নাম
ডাঃ এম. শমশের আলী।
তিনি ২০০৩ সাল থেকে অব্যাহতভাবে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলেন। দীর্ঘ সময় একটানা অধ্যাপনার অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বুঝতে পারেন যে, যেহেতু ইসকেমিক হার্ট ডিজিজ (হৃদরোগ) এক ধরনের জীবনধারা বিপর্যয় জনিত অসুস্থ্যতা। তাই হৃদরোগকে জীবনধারা সংশোধনের মাধ্যমে তাকে মোকাবেলা করাই উত্তম, শুধুমাত্র ইনভেসিভ চিকিৎসা যেমন: রিং ও বাইপাস হৃদরোগ মোকাবেলায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে না।
সূদীর্ঘ পর্যবেক্ষনের পর তিনি আমাদের সামাজিকতা ও শিক্ষা সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে এলোপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদান করেন এবং তার সাথে জীবনধারা পরিবর্তন ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে এক নতুন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির স্বপ্ন দেখতে থাকেন। এ ধরনের চিকিৎসা প্রদানের ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিকূলতা সম্মখিন হতে হয়। বিশেষ করে তার সম-সাময়িক চিকিৎসকগন অনেকে অনেক ধরনের সমালোচনা করতে পিছপা হয় নাই। অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবেল করে বর্তমান সময়ে তিনি “শমশের হার্ট কেয়ার” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদান করার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। সে কারণেই ২০১৫ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা থেকে সেচ্ছায় চাকুরী ত্যাগ করে এ প্রতিষ্ঠানের জন্যে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে শেরপুর জেলায় তৎকালীন ময়মনসিংহ জেলার নকলা থানার নিভৃত গ্রামের এক কৃষক পরিবারে তিনি জন্মগ্রহন করেন। স্কুলে ভর্তি হওয়ার পূর্বেই তিনি তার পিতাকে হারান এবং স্নেহময়ী মা মৃত্যুবরণ করার পূর্ব সময় পর্যন্ত মায়ের আদর স্নেহে বড় হন। নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সফলতার সহিত মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে অর্থাভাবে বড় কোন কলেজে পড়ার সুযোগ হয়নি তার। তাই প্বার্শবর্তী উপজেলা নব-প্রতিষ্ঠিত ফুলপুর কলেজ থেকে সফলতার সহিত উচ্চ মাধ্যমিক সমাপ্ত করেন। পরবর্তীতে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী অর্জন করেন। ঢাকা ইউনিভার্সিটির অধীনে “জাতীয় হৃদরোগ ইনষ্টিটিউট” থেকে সফলতার সহিত ডক্টর অব মেডিসিন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.মেড ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯৮৪ সালে তিনি সরকারী চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় দেড় বছর চাকুরি করেন। পরবর্তীতে মেডিকেল অফিসার হিসাবে শেরপুর জেলার নন্দির বাজার উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, শেরপুর জেলা হাসপাতাল, জামালপুর জেলার নান্দিনা উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং পরবর্তীতে মেডিকেল অফিসার হিসাবে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। তারপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী রেজিষ্টার মেডিসিন ইউনিট-১ এ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে তৎকালীন সময়ে শ্রেষ্ঠ ডিগ্রি এমডি (কার্ডিওলজি) ডিগ্রি গ্রহনের জন্য সাবেক পিজি হাসপাতাল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এ জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এ অধ্যয়ন শেষ করে ২০০১ সালে এমডি কার্ডিওলজি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরবর্তীতে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৩ সালে অল্প কিছু দিনের জন্য মিডফোট হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে রেজিষ্ট্রি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনায় যোগদান করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চাকুরিরত অবস্থায় তিনি ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে এম.মেড ডিগ্রি অর্জন করেন।
ইউটিউব ভিডিও
ইউটিউব চ্যানেল Youtube Channel Learn more
রোগী দেখার সিডিউল
শনিবার | সকাল ১০:০০AM–২:০০PM বিকাল ৫:০০PM–৮:০০PM |
রবিবার | সকাল ১০:০০AM–২:০০PM বিকাল ৫:০০PM–৮:০০PM |
সোমবার | সকাল ১০:০০AM–২:০০PM বিকাল ৫:০০PM–৮:০০PM |
মঙ্গলবার | সকাল ১০:০০AM–২:০০PM বিকাল ৫:০০PM–৮:০০PM |
বুধবার | সকাল ১০:০০AM–২:০০PM বিকাল ৫:০০PM–৮:০০PM |
বৃহস্পতিবার | সকাল ১০:০০AM–২:০০PM বিকাল ৫:০০PM–৮:০০PM |
শুক্রবার | বন্ধ |
ঠিকানা–২৪/১, খিলজি রোড, শ্যামলী হল কমপ্লেক্স, শ্যামলী, ঢাকা মোবা:০২-৪৮১২১৭৫৮, ০১৯৭১৫৬৫৭৬১, ০১৯৭০৮৮৭৭৬৬, ০১৯৭১৫৭৫৬৬১