প্রত্যেক রোগীকে তার বয়স, ওজন, শারীরিক গঠন, অসুস্থতার মাত্রা এবং অন্যান্য সহযোগী অসুস্থতা যেমন কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, নিউরোলজিক্যাল সমস্যা ইত্যাদি বিবেচনা করে আলাদা আলাদা খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শ প্রদান করে থাকি। আমাদের খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করলে রোগী ধীরে ধীরে প্রাকৃতকিভাবে খাদ্যাভ্যাসে সফলতা অর্জন করতে পারবে। খাদ্য তালিকা- মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডালের মত প্রোটিন জাতীয় খাবার, সরিষার তেল, সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, অলিভ ওয়েল, ঘি, বাদাম জাতীয় খাবার, ডিমের কুসুম, তিল, তিসি ইত্যাদি তেল জাতীয় খাবারের উৎস। এধরনের খাবার যতুটুকু সম্ভব কম মাত্রায় খাওয়া বাঞ্ছনীয় । তবে কোন ভাবেই সম্পূর্ণ বর্জন করা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। শাক-সবজি ও ফলমুল জাতীয় খাবার, ভাত, রুটি, আলু, চিনি মিষ্টি এ ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার এর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে খাদ্যতালিকা প্রস্তুত করা আছে। যা বাঙালি সমাজের খাদ্যাভ্যাসের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে মনে রাখতে হবে খাদ্য আমাদের শারীরিক যোগ্যতা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখার একটি বড় উপায়। কাজেই কোন ধরনের খাদ্যবস্তু সম্পূর্ণরূপে বর্জন করা উচিত হবে না, বিশেষ কিছু ক্ষেত্র ছাড়া।