সুস্থ থাকার জন্য আমাদের জীবনধারা অবশ্যই ভারসাম্যপূর্ণ হতে হবে। যেমন: পরিশ্রমও করতে হবে তার সাথে বিশ্রাম নেয়াও জরুরী। বর্তমান সামজিক অবস্থায় শহরবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটা অথবা সাইক্লিং বা সাঁতারকাটা জরুরী। মানসিক উদ্বেগ, উৎকন্ঠার সৃষ্টি হয় এমনসব কাজকর্ম থেকে নিজেকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে। খাদ্য গ্রহন ও ঘুমের মধ্যে শৃংখলা আনয়ন করতে হবে। একঘেয়েমি কাজকর্ম বন্ধ করে প্রায় প্রায়েই কর্মপন্থা পরিবর্তন করতে হবে। যেমন অনেক সময় কাজ করার পর মানসিক উৎফুল্লতার জন্য বেড়ানো, পরিবারকে সময় দেয়া, বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডায় মশগুল হওয়া, নাটক-সিনেমা, খেলাধুলার মতো বিনোদনজাতীয় কর্মকান্ডে যতুটুকু সম্ভব সময় দেয়া। এতে মানসিক উৎফুল্লতা বাড়বে, কর্মস্পৃহা বাড়বে, শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা বজায় থাকবে। মনে রাখতে হবে সব বয়সের সবাইকে সাধ্যমত কম করে হলেও কায়িকশ্রম সম্পাদন করতে হবে।
ধর্মীয় উপসনা, আচার-অনুষ্ঠান এবং রীতি-নীতি অনুসরণ করলে মানুষ যেমন পাপাচার থেকে দূরে থাকে, তেমনি স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও বিভিন্ন জটিল অসুস্থতার উৎপত্তি ও জটিলতা প্রশমন করা সম্ভব এবং মানসিক উৎফুল্লতা আনয়ন করে এবং মানুষকে দীর্ঘজীবন সুস্থতার সহিত জীবন-যাপন করতে সাহায্য করে।
মানসিক প্রশান্তি সুস্থতার জন্য অথবা সুস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় নিয়ামত। সৃষ্টিকর্তার উপর প্রগাঢ় বিশ্বাস মানসিক প্রশান্তি আনয়ন করে। প্রত্যেক ধর্মে ধর্মসাধকদের আলাদা মূল্যায়ন করা হয়। বিশেষ করে সৃষ্টিকর্তার আদেশ মানুষের মাঝে সঞ্চালিত করে। ধর্মগুরু এবং ধর্মসাধকদের উপর আস্থা রাখাও আধ্যত্মিক মানসিকতার একটি বড় অংশ। কারো এসব বিশ্বাসের উপর আঘাত হানা স্বাস্থ্যগত রীতি-নীতি বিরুদ্ধ। এতে অল্পে তুষ্ট থাকা যায় এবং একাগ্রতার সহিত কর্ম সম্পাদন করা যায় ।
হার্টকে সুস্থ রাখার জন্য মানসিক উদ্বেগ, উৎকন্ঠা প্রশমনের জন্য হাজার হাজার বছর ধরে বিভিন্ন সভ্যতায় বিশেষ করে আমাদের ভারতবর্ষে যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন বহুল প্রচলিত পদ্ধতি। সঠিকভাবে এসব পদ্ধতি অনুসরণ করলে শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। যার কার্যকরিতা প্রমানিত এবং অপরিসীম।